আপনি কি এইডস নিয়ে রচনা খুজছেন? ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে এইচএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত পরীক্ষায় এইডস নিয়ে রচনা এসে থাকে। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা এইডস নিয়ে রচনা। এইডস নিয়ে রচনা ১০০০ শব্দে তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে
ভূমিকা
রোগ-বালাই মানুষের জীবনেরই একটা অংশ। এখনকার বিশ্বে জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি নতুন নতুন রোগও দেখা দিচ্ছে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি প্রাণীকে কোনো না কোনোভাবে রোগের সঙ্গে লড়তেই হয়। তবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন অনেক রোগের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে, টিকা এসেছে, আর প্রতিরোধ ব্যবস্থাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেও কিছু মারাত্মক রোগ এখনো আছে, যা মানুষের জন্য ভয়ানক হুমকি। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক একটির নাম এইডস।
এইডস একবার হলে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। ১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির রক্তে এইচআইভি ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই ভাইরাস মূলত যৌন সংযোগ, রক্ত আদান-প্রদান বা মায়ের দুধের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। একবার শরীরে ঢুকে গেলে এটি ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। এখনো পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি, যা এটাকে পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে। তাই এইডস এখনো বিশ্ব মানবসমাজের জন্য একটা বড় আতঙ্ক।
এইডস কি
এইডস মানে আসলে একটা মারাত্মক রোগ, যা এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের কারণে হয়। এই ভাইরাস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে ফেলে, ফলে কেউ যদি একবার আক্রান্ত হয়, তাহলে ছোটখাটো সংক্রমণেও তার অবস্থা খারাপ হতে পারে। একসময় এসব সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে রোগী মারা যেতে পারে।
উৎপত্তি
এইচআইভি-১ এবং এইচআইভি-২ ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে, পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকার কিছু প্রাণী থেকে এগুলি মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এইচআইভি-১ ভাইরাসটি দক্ষিণ ক্যামেরুনের সিআইভি (সিমিয়ান ইমিউনোডফেসিসিস ভাইরাস) থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা শিম্পাঞ্জির মধ্যে পাওয়া যায়। সিআইভি এক ধরনের ভাইরাস যা বন্য শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে ছড়ায়। এইচআইভি-২ ভাইরাসটি সোটি ম্যাগাজি নামক পুরানো বিশ্বের বানরের একটি ভাইরাস থেকে এসেছে, যা পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বাস করে।
এছাড়া, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বুশমিট শিকার বা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা এসআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, এসআইভি একটি দুর্বল ভাইরাস এবং সাধারণত মানুষের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে তা দমন হয়ে যায়। এই ভাইরাসটি দ্রুত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমিত হয়ে এইচআইভিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
ভাইরাসের জেনেটিক গবেষণায় দেখা গেছে, এইচআইভি-১ ভাইরাসের এম গ্রুপের উৎপত্তি ১৯১০ সালের আশেপাশে হয়েছিল।
এছাড়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে অনিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর জন্যও ভাইরাসের বিস্তার ঘটতে থাকে। যেমন, এক সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার করা। ১৯৫২ সালে কঙ্গোতে প্রথম এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা ঘটে এবং ১৯৬৬ সালে নরওয়েতে প্রথম AIDS সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
১৯৬০ সালের দিকে, আফ্রিকায় জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর পর, হাইতিতে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, যা পরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায় এবং এক সময় এটি পুরুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
এইডস কিভাবে ছড়ায়?
এইডস (Acquired Immuno Deficiency Syndrome) প্রতিরক্ষার অভাবজনিত সংলক্ষণ একটি রোগ, যা এইচআইভি (HIV; Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এইচআইভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর প্রথম দিকে সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না বা অনেক সময় সাধারণ ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তখন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া বা অন্য কোনো সংক্রমণ খুব সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই ভাইরাস মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) কমিয়ে দেয়, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি সহজেই যেকোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
এইচআইভি ভাইরাস শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না, তাই শুধুমাত্র রক্ত বা যৌন নিঃসরণের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত একে ছোঁয়াচে রোগ বলা হয় না।
এইচআইভি কীভাবে ছড়ায়-
- আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে।
- আক্রান্ত মায়ের গর্ভের সন্তান জন্মের সময় সংক্রমিত হতে পারে।
- অরক্ষিত যৌন সম্পর্কে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
- তবে মশার কামড়, একসঙ্গে খাওয়া বা সাধারণ স্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়ায় না।
তবে সহজভাবে একসাথে খাওয়া, কথা বলা বা হাত মেলানোর মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না।
এইচআইভির লক্ষণ ও উপসর্গ
এইচআইভি সংক্রমণের পর প্রাথমিক সময়টাকে তীব্র এইচআইভি সংক্রমণ বা প্রাথমিক এইচআইভি সংক্রমণ বলা হয়। সাধারণত সংক্রমণের ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা টাইফয়েডের মতো মনে হতে পারে, আবার অনেকের কোনো লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে।
প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গ:
জ্বর – অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
গলা ব্যথা – স্বাভাবিক ঠান্ডার মতো মনে হতে পারে।
শরীরে ব্যথা ও দুর্বলতা – ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া – গলায়, বগলে বা কুঁচকিতে বড় হয়ে যেতে পারে।
স্কিন র্যাশ – বিশেষ করে শরীরের মূল অংশে লালচে ফুসকুড়ি দেখা যায়।
মাথাব্যথা – কখনো খুব তীব্র হতে পারে।
মুখে বা যৌনাঙ্গে ঘা – অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়।
ডায়রিয়া, বমি বা পেটের সমস্যা – হজমের সমস্যা হতে পারে।
স্নায়ুবিক সমস্যা – হাত-পা ঝিনঝিন করা বা দুর্বল লাগতে পারে।
এই লক্ষণগুলো সাধারণত ১-২ সপ্তাহ স্থায়ী হয়, কিন্তু অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
কেন এই লক্ষণগুলো গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
এইচআইভির প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেক সাধারণ রোগের (ফ্লু, টাইফয়েড, টনসিল ইনফেকশন) মতো মনে হতে পারে। ফলে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এটা এইচআইভির সংক্রমণের লক্ষণ। এমনকি ডাক্তাররাও ভুল করে সাধারণ অসুস্থতা মনে করতে পারেন। তাই যদি কেউ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন (যেমন অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক বা দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহার), তবে পরীক্ষা করানো জরুরি।
ধর্ম এবং এইডস
গত কয়েক দশকে ধর্ম ও এইডস নিয়ে বিতর্ক বেশ বেড়েছে। অনেক ধর্মীয় গোষ্ঠী মনে করে যে এইডস প্রতিরোধের জন্য শুধু ধর্মীয় পদ্ধতিই যথেষ্ট। কিছু গির্জা দাবি করে, প্রার্থনার মাধ্যমে এইডস সেরে যেতে পারে। ২০১১ সালে বিবিসি জানায়, লন্ডনের কয়েকটি গির্জা প্রচার করেছিল যে তারা প্রার্থনার মাধ্যমে এইডস নিরাময় করতে পারে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এমন ভ্রান্ত ধারণার ফলে অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন এবং এতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। হ্যাকনির এক গবেষণা কেন্দ্রে দেখা গেছে, অনেকেই তাদের ধর্মীয় নেতার পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করে দেন, যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান “anointing water” নামে এক ধরনের পানি প্রচার করেছিল, যা ঈশ্বরের আশীর্বাদযুক্ত বলে দাবি করা হয়, যদিও তারা ওষুধ বন্ধ করার কথা সরাসরি বলেনি।
এইচআইভির শরীরে কাজ করার প্রক্রিয়া (প্যাথোফিজিওলজি)
এইচআইভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর প্রথমে দ্রুত সংক্রমিত হয় এবং রক্তে ভাইরাসের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে, এই ভাইরাস রক্তে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধক কোষ (CD4+ T কোষ) ধ্বংস করতে থাকে। প্রথম কয়েক সপ্তাহে, এই কোষগুলোর সংখ্যা কমতে থাকে, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এইচআইভি সংক্রমণের ফলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্যান্য সংক্রমণের (opportunistic infections) ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে রোগটি ভয়ানক হয়ে ওঠে। প্রথম দিকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিছুটা প্রতিরোধ করলেও, সময়ের সাথে সাথে এইচআইভি ভাইরাস শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি দুর্বল করে দেয়। ফলে শরীর সহজেই অন্যান্য সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। CD4+ T কোষ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে না।
প্রাথমিক পর্যায়ে, শরীর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করলেও, দীর্ঘমেয়াদে এইচআইভি প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। অন্ত্রের মিউকোসায় থাকা CD4+ T কোষগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়, কারণ এগুলো ভাইরাসের টার্গেট। এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কিছু জেনেটিক পরিবর্তন প্রয়োজন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের শরীরে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না।
এইচআইভি সংক্রমিত হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহেই শরীরে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন কোষ ধ্বংস হয়ে যেতে থাকে, যার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পাচনতন্ত্রের) সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ (inflammation) এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভাঙ্গন শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে, রোগটি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি এইডসে রূপ নেয়।
এইচআইভি সংক্রমণ মানেই কি সঙ্গে সঙ্গে এইডস?
এইচআইভি ভাইরাস শরীরে ঢোকার পরই যে সঙ্গে সঙ্গে এইডস হবে, তা নয়। অনেক সময় শুরুতে সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এরপর অনেক বছর পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। তবে আস্তে আস্তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে, যার কারণে রোগী সহজেই যক্ষ্মা বা অন্য কোনো বড় অসুখে আক্রান্ত হতে পারে।
এইচআইভি ভাইরাস যখন শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে দুর্বল করে ফেলে, তখনই তাকে এইডস বলা হয়। এই পর্যায়ে রোগীর ওজন দ্রুত কমতে থাকে, আর নানা রকম সংক্রমণ একের পর এক দেখা দেয়।
এইডস হলে কি মৃত্যু নিশ্চিত?
যেহেতু একবার এইচআইভি ভাইরাস শরীরে ঢুকে গেলে সেটাকে পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, তাই এইডস একসময় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এইডস পর্যায়ে পৌঁছানোর সময়টা কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব। বিনা চিকিৎসায় সাধারণত ১০ বছরের মধ্যে এইডস হয়ে যায়, কিন্তু সঠিক ওষুধ খেলে আরও কিছু বছর সুস্থ থাকা সম্ভব।
HAART (Highly Active Antiretroviral Therapy) নামে একটি বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা এইডসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তবে এই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, তাই সবার জন্য সহজলভ্য নয়।
বিশ্বে কতজন এইচআইভি আক্রান্ত?
২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল, এবং শুধু ওই বছরেই ১০ লাখ মানুষ এইডসে মারা গেছে। তবে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ কম ছিল।
বিশ্বের বেশির ভাগ এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ সাহারা-নিম্ন আফ্রিকায় বাস করে। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে এই রোগ প্রথম চিহ্নিত হয়, এরপর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এইডসে মারা গেছে।
এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব?
কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব—
- সুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক বজায় রাখা
- সঠিকভাবে স্টেরিলাইজড সূঁচ ও রক্ত ব্যবহার করা
- যদি মা এইচআইভি পজিটিভ হন, তবে শিশুর জন্য চিকিৎসা নেওয়া
এইডস নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা দরকার
অনেক মানুষ এখনো মনে করে, এইডস মানেই মৃত্যু, যা একেবারেই সত্য নয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক বছর সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন। এইডস নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই এর প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় উপায়।
উপসংহার
এইডস আমাদের একটা বড় শিক্ষা দেয়—নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে সঠিক জীবনযাপন করতে হবে। ধর্মীয় দিক থেকে অনেকেই মনে করেন যে অনৈতিক কাজের ফলেই এই রোগ হয়, তাই সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু শুধু নীতিবান জীবনযাপন করলেই এইডস ঠেকানো যাবে না, কারণ এটি ছড়াতে পারে নানা উপায়ে। তাই সবাইকেই সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর—সবাইকে এই রোগ সম্পর্কে জানতে হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এইডসের ভয়াবহতা বোঝাতে হবে, যাতে তারা সতর্ক থাকতে পারে। অনেকে অসচেতনভাবে এমন কিছু করে বসে, যা তাদের ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। বিজ্ঞানীরা নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এখনো নিশ্চিত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই চিকিৎসার থেকে প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো সমাধান।