কবিতা কী?।কবিতা কাকে বলে?।কবিতা কত প্রকার ও কি কি

কবিতা পড়তে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু কবিতা সম্পর্কে জানে এমন মানুষ খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে কবি হওয়ার। যারা এই ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত কবিতা কী?।কবিতা কাকে বলে?।কবিতা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো কবিতা কী?।কবিতা কাকে বলে?।কবিতা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি। তবে আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেল পড়া শুরু করুন-

কবিতা কী

সাহিত্যের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কবিতা। পৃথিবীর সব দেশেই, সব ভাষায় কবিতা লেখা হয়। এক কথায় কবিতার কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। কিছু বাক্যে কবিতার সব বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা যায় না। তবে পৃথিবীর অদেখা, অজানা সৌন্দর্য কিছুটা হলেও কবিতার মধ্যে ফুটে ওঠে। সেরা কবিতা সাধারণ অর্থের বাইরে গিয়ে রমণীয়তা সৃষ্টি করে। তবে কবিতার আসল রস কোনো কিছুই পারে না বোঝাতে। কবিতা আসলে অলৌকিক আনন্দ দেয়।

সাধারণভাবে, কবিতা হলো কবির অনুভূতি, বিশেষ চিন্তা বা শিল্পকর্ম। কবিতা এক ধরনের সৃষ্টি, যেখানে কবির মনে যে ভাবনা ছিল, তা বাস্তব রূপ পায়। কবি তার সৃজনশীলতা দিয়ে সেই ভাবনা কবিতার রূপে সাজান। কবিতা হলো কবির সৌন্দর্যবোধ এবং তার বাস্তবতার উপলব্ধি। একই সঙ্গে কবিতা হল কবির মনে স্থিত ভাবনা এবং ভালোবাসার অনুভূতির প্রকাশ। কবিতা একটি জীবনদর্শন যা মানুষকে প্রেরণা দেয়, তাকে ভালবাসতে শেখায়, প্রতিবাদী হতে সাহায্য করে এবং নির্মল আনন্দ দেয়। কবিতা কবির শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং চেতনার পরিচয় দেয়। কবিতা পড়লে মনের প্রশান্তি এবং সমৃদ্ধি আসে। কবিতা লেখার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করার আনন্দও পাওয়া যায়।

ST Coleridge কবিতার সংজ্ঞা দেন – “Best words in best order”, অর্থাৎ, কবিতা হলো প্রয়োজনীয় শব্দের সঠিক ব্যবস্থাপনা। যখন মন থেকে আসা ভাবনা, কল্পনা এবং অনুভূতিগুলো যথাযথ শব্দ দিয়ে চমৎকারভাবে ছন্দে পরিণত হয়, তখন সেটি কবিতায় রূপ নেয়। আর ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেছেন কবিতা সম্পর্কে –

“Poetry is the spontaneous overflow of powerful feelings”, অর্থাৎ কবিতা হলো শক্তিশালী অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।

কবিতা কাকে বলে

কবিতা মানে শুধু ছন্দময় লাইন না, এটা আমাদের মনের কথা, অনুভূতি আর ভাবনার প্রকাশ। কবিতা বলতে আমরা সাধারণত ছন্দ কিছু বুঝি, কিন্তু এটা আসলে অনেক বড় একটা ব্যাপার। যুগে যুগে কবিতার ধরন বদলেছে, কিন্তু এর সৌন্দর্য আর আবেগ কখনো হারায়নি।

কবিতা, কাব্য বা পদ্য বলতে বোঝায় এমন কিছু লেখা, যেখানে শব্দের ছন্দ, অনুভূতি আর গভীর অর্থ একসঙ্গে মিশে থাকে। এটা শুধু লেখা নয়, বরং একজন কবির হৃদয়ের ভাষা। কবিতার মাধ্যমে প্রেম, দুঃখ, আনন্দ, ব্যথা—সব কিছু প্রকাশ করা যায়। অনেক সময় সহজ ভাষায় বলা কথা কবিতায় এসে একদম নতুন একটা রূপ নেয়।

কবিতা অনেক রকমের হতে পারে। কারও জন্য এটা প্রেমের কথা, কারও জন্য ব্যঙ্গ, আবার কারও জন্য গভীর দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ। কিছু কবিতা হাস্যরসাত্মক হয়, কিছু হয় একেবারে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, মহাকাব্য, গীতি কবিতা, নাট্যকাব্য, ব্যঙ্গ কবিতা—এমন কত ধরনের কবিতা লেখা হয়েছে!

কবিতার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর অনুভূতির গভীরতা। এতে শুধু শব্দ থাকে না, থাকে ভাব, চিত্রকল্প আর উপমা। কবিতার ছন্দ, শব্দচয়ন আর অনুভূতি সব মিলিয়ে একধরনের সুর তৈরি করে, যা পড়তে বা শুনতে ভালো লাগে।

সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো আর গভীর অংশ হলো কবিতা। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, কবিতা শুধু শব্দ নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে সংগীত, নাটক, অলঙ্কার আর হাস্যরস। সারা বিশ্বে কবিতাকে শিল্পের সেরা মাধ্যমগুলোর একটি ধরা হয়।

কবিতা কত প্রকার ও কি কি

কবিতাকে সাধারণত দুই ধরনের ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন –

১. মন্ময় কবিতা
২. তন্ময় কবিতা

মন্ময় কবিতা কি বা কাকে বলে?

অলংকার শাস্ত্রে কবিকে প্রজাপতি ব্রহ্মার সাথে তুলনা করা হয়েছে। যেমন প্রজাপতি ব্রহ্মা বিশ্বজগতকে তার নিজস্ব কল্পনা দিয়ে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি কবিরাও শব্দের সঙ্গে শব্দ মেলান এবং এক নতুন মায়ার জগত সৃষ্টি করেন।

যখন কবি তার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, ভাবনা, চিন্তা এগুলো কাব্যে প্রকাশ করেন, তখন তাকে আমরা “মন্ময় কবিতা” বলে থাকি।

মন্ময় কবিতা একদম ব্যক্তিগত। এতে কবির অন্তরের অনুভূতিগুলো উঠে আসে। কাব্যতত্ত্ব, সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা, এবং রস সৌন্দর্যের বিচারে, মন্ময় কবিতাই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়।

মন্ময় কবিতা প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

১ – গীতি কবিতা ও

২ – সনেট।

গীতি কবিতা কাকে বলে?

গীতি কবিতা এমন এক ধরনের কবিতা, যা সুরের সাথে গাওয়া যায় বা গীতিময় ভাব প্রকাশ করে। সাধারণত এসব কবিতায় আবেগ, অনুভূতি ও সৌন্দর্যের গভীর প্রকাশ থাকে। প্রেম, বিরহ, প্রকৃতি বা জীবনের নানা অনুভূতি গীতি কবিতার মূল বিষয়বস্তু হতে পারে।

গীতি কবিতার বৈশিষ্ট্য:

  • সহজ ও সুরেলা ভাষায় লেখা হয়, যা সহজেই পাঠকের মনে গেঁথে যায়।
  • এতে ছন্দ ও তালের বিশেষ গুরুত্ব থাকে, যা একে গানের মতো শোনায়।
  • সাধারণত এটি সংক্ষিপ্ত হয় এবং আবেগপ্রবণ ভাষায় লেখা হয়।
  • প্রেম, প্রকৃতি, মানবজীবন, সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশার মতো বিষয় এতে উঠে আসে।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক কবিতা গীতি কবিতার অন্যতম উদাহরণ।

উদাহরণ:
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”— এই জাতীয় কবিতাগুলো গীতি কবিতার অন্তর্ভুক্ত।

বাংলা সাহিত্যে গীতি কবিতার পরিচিত কবি:

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • কাজী নজরুল ইসলাম
  • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

সনেট কবিতা কাকে বলে?

সনেট হলো চৌদ্দ লাইনের একটি নির্দিষ্ট ছন্দোবদ্ধ কবিতা, যার মধ্যে ভাব, আবেগ ও যুক্তির সংমিশ্রণ থাকে। এই কবিতার উদ্ভব ইতালিতে হলেও পরে ইংরেজি সাহিত্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাংলা সাহিত্যেও সনেটের প্রভাব লক্ষ করা যায়।

সনেট কবিতার বৈশিষ্ট্য:

  • প্রতিটি সনেট কবিতায় মোট ১৪টি চরণ থাকে।
  • সাধারণত প্রথম ৮ চরণকে অকটেভ এবং শেষ ৬ চরণকে সেস্টেট বলা হয়।
  • প্রথম ৮ চরণে একটি ভাব বা সমস্যা উপস্থাপন করা হয়, এবং শেষ ৬ চরণে তার সমাধান বা উপসংহার দেওয়া হয়।
  • সনেটে নির্দিষ্ট ছন্দ থাকে, সাধারণত ইংরেজি সনেটে ABABCDCDEFEFGG বিন্যাস পাওয়া যায়, আর বাংলা সনেটে এটি একটু পরিবর্তিত হতে পারে।

সনেটের ধরণ:
পেত্রার্কীয় সনেট: ৮+৬ কাঠামোতে বিভক্ত।
শেক্সপীয়রীয় সনেট: ৪+৪+৪+২ কাঠামোতে বিভক্ত।

উদাহরণ:

মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা “কপোতাক্ষ নদ” একটি বাংলা সনেট কবিতার দারুণ উদাহরণ।

বাংলা সাহিত্যে সনেট কবিতার পরিচিত কবি:

  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত (বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট রচয়িতা)
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • জীবনানন্দ দাশ

তন্ময় কবিতা কি বা কাকে বলে

তন্ময় কবিতা হলো এমন এক ধরনের কবিতা, যেখানে কবির মন পুরোপুরি একটি বিশেষ ভাবনা, অনুভূতি বা দৃশ্যের মধ্যে গভীরভাবে নিমগ্ন থাকে। কবির মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর থাকে। আবেগপ্রবণ ও চিন্তামূলক হয়। দৃশ্যপট বা অনুভূতির গভীরতা ফুটিয়ে তোলা হয়। ভাষা সাধারণত গীতিময় ও কাব্যিক হয়। যখন কোনো কবি প্রকৃতির সৌন্দর্যে বা প্রেমের অনুভূতিতে এতটাই মগ্ন থাকেন যে অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেই পারেন না, তখন সেই কবিতা তন্ময় কবিতা হয়ে ওঠে।

বাংলা সাহিত্যে তন্ময় কবিতার উদাহরণ: জীবনানন্দ দাশের “বনলতা সেন” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “নির্জরণা”

তন্ময় কবিতা মূলত অনুভূতির গভীরতা ও কবির একাগ্রতাকে তুলে ধরে, যা পাঠকের মনেও গভীর প্রভাব ফেলে।

কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য

১. ছন্দময়তা ও লয়

কবিতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ছন্দ ও লয়ের ব্যবহার। কবিতার শব্দগঠনে একটি সুরেলা প্রবাহ থাকে, যা পাঠককে মুগ্ধ করে। যদিও অনেক আধুনিক কবিতা ছন্দমুক্ত (গদ্য কবিতা) হতে পারে, তবুও ছন্দ কবিতার মূল সৌন্দর্য।

২. সংক্ষিপ্ততা ও গভীরতা

কবিতা সাধারণত সংক্ষিপ্ত হয়, কিন্তু তার প্রতিটি শব্দে থাকে গভীর অর্থ। একটি ছোট কবিতার মধ্যেই কবি বিশাল এক অনুভূতি বা চিন্তা প্রকাশ করতে পারেন।

৩. অলংকারের ব্যবহার

কবিতায় বিভিন্ন অলংকার ব্যবহৃত হয়, যেমন—
উপমা: “চাঁদের মতো সুন্দর মুখ”
রূপক: “জীবন একটি নদী”
প্রতীক: “পাখি” দিয়ে স্বাধীনতার ইঙ্গিত

৪. আবেগের প্রকাশ

কবিতার মাধ্যমে প্রেম, দুঃখ, আনন্দ, বিষাদ, দেশপ্রেম বা বিদ্রোহের মতো আবেগ প্রকাশ করা হয়। তাই কবিতা পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়।

৫. চিত্রকল্প সৃষ্টি

কবিতা এমনভাবে লেখা হয়, যাতে পাঠকের মনে ছবির মতো দৃশ্য তৈরি হয়। যেমন—
“নদীর জলে সোনার আলো ঝিলমিল করে”—এটি পাঠকের মনে একটি সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে।

৬. ভাষার সৃজনশীলতা

কবিতার ভাষা সাধারণ ভাষার চেয়ে আলাদা হয়। এতে শব্দের নতুন বিন্যাস, বাক্যগঠন এবং বিশেষ শব্দচয়ন করা হয়, যা কবিতাকে অন্য সাহিত্যকর্মের চেয়ে আলাদা করে।

বাংলা সাহিত্যে কবিদের ও কাব্যগ্রন্থের তালিকা

বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
    ‘কবি-কাহিনী’ (১৮৭৮): প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
    অন্য কাব্যগ্রন্থ:
    ‘বনফুল’, ‘কড়ি ও কোমল’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘নৈবেদ্য’, ‘খেয়া’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘বলাকা’, ‘পূরবী’, ‘শেষলেখা’, ‘মানসী’, ‘চৈতালি’, ‘কল্পনা’, ‘পত্রপূট’, ‘সেঁজুতি’, ‘আকাশ প্রদীপ’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’, ‘পুনশ্চ’।
  • কাজী নজরুল ইসলাম:
    ‘অগ্নিবীণা’ (সেপ্টেম্বর, ১৯২২): প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
    অন্য কাব্যগ্রন্থ:
    ‘সন্ধ্যা’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘প্রলয়শিখা’, ‘দোলনচাঁপা’, ‘সঞ্চিতা’, ‘মরুভাস্কর’, ‘চিত্তনামা’, ‘সিন্ধু হিন্দোল’, ‘চন্দ্ৰবিন্দু’, ‘ঝিঙেফুল’, ‘সাতভাই চম্পা’, ‘সর্বহারা’, ‘সাম্যবাদী’, ‘ভাঙার গান’, ‘ঝড়’, ‘ফণিমনসা’, ‘জিঞ্জির’, ‘ছায়ানট’, ‘পূবের হাওয়া’, ‘চক্রবাক’।
  • সুকুমার রায়:
    ‘আবোল-তাবোল’, ‘হ-য-ব-র-ল’, ‘খাই খাই’।
  • শহীদ কাদরী:
    ‘উত্তরাধিকার’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’।
  • বিষ্ণু দে:
    ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’, ‘চোরাবালি’, ‘সাত ভাই চম্পা’।
  • দাউদ হায়দার:
    ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’, ‘নারকীয় ভুবনের কবিতা’, ‘আমি ভাল আছি তুমি’।
  • নবীনচন্দ্র সেন:
    ‘পলাশীর যুদ্ধ’।
  • আবুল হাসান:
    ‘রাজা যায় রাজা আসে’।
  • আবদুল কাদির:
    ‘দিলরুবা’, ‘উত্তর বসন্ত’।
  • প্রেমেন্দ্র মিত্র:
    ‘প্ৰথমা’।
  • হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়:
    ‘চিন্তাতরঙ্গিণী’।
  • সমর সেন:
    ‘কয়েকটি কবিতা’।
  • সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার:
    ‘মহিলা’।
  • দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর:
    ‘স্বপ্নপ্ৰয়াণ’।
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ:
    ‘সাত নরী হার’, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’।
  • বন্দে আলী মিয়া:
    ‘পদ্মা নদীর চর’, ‘ময়নামতির চর’, ‘অনুরাগ’।
  • সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত:
    ‘বেনু ও বীনা’, ‘সবিতা’, ‘কুহু ও কেকা’।
  • কামিনী রায়:
    ‘আলো ও ছায়া’, ‘দীপ ও ধূপ’।
  • যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত:
    ‘মরীচিকা’, ‘মরুশিখা’, ‘মরু মায়া’।
  • মোহিতলাল মজুমদার:
    ‘স্বপন পসারী’, ‘হেমন্ত গোধূলি’।
  • গোবিন্দচন্দ্র দাস:
    ‘প্রেম ও ফুল’, ‘মগের মুলুক’।
  • যতীন্দ্রমোহন বাগচী:
    ‘অপরাজিতা’, ‘নীহারিকা’।
  • অক্ষয়কুমার বড়াল:
    ‘এষা’।
  • নির্মলেন্দু গুণ:
    ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’, ‘না প্রেমিক না বিপ্লবী’, ‘হুলিয়া’।

বিখ্যাত কবিতা

  • রামনিধি গুপ্ত:
    ‘স্বদেশী ভাষা’।
  • ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত:
    ‘বড় কে’।
  • আবদুল কাদির:
    ‘জয়যাত্রা’।
  • শেখ ফজলল করিম:
    ‘গায়ের ডাক’, ‘স্বর্গ ও নরক’।
  • কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার:
    ‘মিতব্যয়িতা’, ‘সমব্যথি’।
  • কালীপ্রসন্ন ঘোষ:
    ‘পারিব না’।
  • রজনীকান্ত সেন:
    ‘স্বাধীনতার সুখ’।
  • সিকান্দার আবু জাফর:
    ‘বাংলা ছাড়ো’, ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই’।
  • মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান:
    ‘শহীদ স্মরণে’।
  • হুমায়ূন কবির:
    ‘মেঘনায় ঢল’।
  • নির্মলেন্দু গুণ:
    ‘না প্রেমিক না বিপ্লবী’, ‘হুলিয়া’।
  • সুকুমার বড়ুয়া:
    ‘এমন যদি হত’।
  • আবুল হোসেন মিয়া:
    ‘একটু খানি’।
  • মোহিতলাল মজুমদার:
    ‘বেদুঈন’।
  • সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত:
    ‘উত্তম ও অধম’, ‘কোন দেশে’।
  • গোবিন্দচন্দ্র দাস:
    ‘জন্মভূমি’।
  • কামিনী রায়:
    ‘পরার্থে’, ‘পাছে লোকে কিছু বলে’, ‘সুখ’।
  • যতীন্দ্রমোহন বাগচী:
    ‘কাজলা দিদি’।
  • বন্দে আলী মিয়া:
    ‘আমাদের গ্রাম’, ‘কুঁচবরণ কন্যা’।
  • যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত:
    ‘ডাক হরকরা’।
  • অক্ষয়কুমার বড়াল:
    ‘মানব বন্দনা’।
  • আব্দুল হাকিম:
    ‘বঙ্গবাণী’।
  • অমিয় চক্রবর্তী:
    ‘বাংলাদেশ’।
  • মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান:
    ‘শহীদ স্মরণে’।
  • রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ:
    ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’।

উপসংহার

কবিতা হল শব্দের জাদু, যা মানুষের অনুভূতি ও চিন্তাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। এটি শুধু বিনোদন বা শিল্পের মাধ্যম নয়, বরং মানুষের হৃদয়ের কথা প্রকাশের এক শক্তিশালী উপায়। এই আর্টিকেলে আমরা কবিতা কী?।কবিতা কাকে বলে?।কবিতা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের উপকারে এসেছে। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment